সুমন ইসলাম।
ফরিদপুরে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে পিয়াস মিয়া (২১) নামে এক তরুণকে যাবজ্জীবন স্বশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের হাকিম মো. আলমগীর কবির এ আদেশ দেন।
রায় প্রদানের সময় এ মামরার একমাত্র আসামি পিয়াস মিয়া আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পিয়াস মিয়া ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের ফুকুরহাটি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জেএসসির পরিক্ষার্থী ওই কিশোরী জেলার ভাঙ্গা উপজেলা নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের উঁচা বাজার এলাকায় কোচিং সেন্টার থেকে পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথে ফুকুর হাটি মিয়া বাড়ির সামনে গেলে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা বখাটে পিয়াস ওই কিশোরীকে তার উড়না মুখে পেচিয়ে রাস্তার পাশের শোন ক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে তাকে ওই শোনখেতে জোর করে ধর্ষণ করে । ওই সময় ওই কিশোরী চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে পিয়াস মিয়া পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পরের দিন ২৪ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে পিয়াসকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাজত দমন আইনে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলাদায়ের করেন।
ওই বছর ২৬ নভেম্বর এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আজাদ আসামি পিয়াসের বিরুদ্ধে আদারতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন।
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি স্বপন কুমার পাল বলেন, আদালত সাক্ষ্য প্রমান শেষে পিযাসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়া তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তিনি বলেন, জরিমানার টাকা আসামিকে পরিশোধ করতে হবে এ ক্ষেত্রে আনাদায়ের কোন সুযোগ নেই।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে এ মামলার বাদী ওই কিশোরীর মা বলেন, আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট। আমরা ন্যয় বিচার পেয়েছি।
