

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি #
ভুয়া সাংবাদিক, মাদক কারবারি, অসংখ্য প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন মামলার আসামি প্রতারক সিকদার লিটনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে স্থানীয় জনগণ।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর বাজারে এ বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা কৃষক লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এস এম তৌকির আহমেদ ডালিম, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোজা মিয়া, খান আমিরুল ইসলাম, সুবান মোল্যা, সাহাদত হোসেন সরদার, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম মোল্যা, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন মিয়া, গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রাম ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলী, বাজড়া ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খান কামরুল ইসলাম ফজর, চান্দড়া ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবীর, কুচিয়াগ্রাম ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক রিপন মিয়া, বুড়াইচ ইউপি সদস্য মাহাবুব শেখ, গোপালপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম মোল্যা, প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা প্রতারক সিকদার লিটনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
প্রতারক সিকদার লিটন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের প্রতারণার পাশাপাশি সাইবার অপরাধের সঙ্গেও জড়িত ছিলো । তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলার চারটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এসব মামলায় সে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলো।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) ভোররাতে ভাঙ্গা উপজেলা সদরে থানার সন্নিকটে একটি ভাড়া বাসা থেকে সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর র্যাব-৮। পরে ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার লিটন শিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় সিআইডির নিকট হস্তান্তর করা হয়।
ফরিদপুর, খুলনা ও পাবনা জেলায় চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকি, সাইবার অপরাধসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে। ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অপপ্রচার করে ব্ল্যাকমেইলিং এবং গ্রামের সহজসরল অনেক মানুষের সঙ্গে সরাসরি প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনে দায়েরকৃত মামলার আসামি তিনি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।