খায়রুজ্জামান সোহাগ।
দেশে পিয়াজের ঘাটতি পূরনে ফরিদপুরের চাষীদের পিঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষনের জন্য মডেল ঘর তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসাবে পিঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকা হিসাবে পরিচিত সালথা উপজেলায় মডেল ঘর নির্মানের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সালথা উপজেলার গট্রি ইউনিয়নে এ মডেল ঘরের কাজের উদ্বোধন করেন কৃষি বিপনণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ওমর মোঃ ইমরুল মহসিন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আধুনিক পিঁয়াজ সংরক্ষন ঘরের প্রকল্প পরিচালক মোঃ হেলালউদ্দিন, উপ প্রকল্প পরিচালক মোঃ জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকতার হোসেন শাহিন, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো: ইয়ামিন, সিনিয়র জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাসসহ স্থানীয় পেয়াজ চাষীরা।
ফরিদপুর জেলার দুটি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ৬৫জন কৃষক পরিবারকে পিঁয়াজ সংরক্ষনের জন্য মডেল ঘর তৈরী করে দেওয়া হবে। আর প্রতিটি ঘরে এলাকার ৫ জন কৃষক ৬০ মন করে ৩০০ মন করে পিঁয়াজ সংরক্ষন করতে পারবে। এ মডেল ঘরের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষকের দীর্ঘদিনের যে দাবী ছিল তা পূরন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পিঁয়াজ মৌসুমসহ বিভিন্ন সময় সংরক্ষনের অভাবে বিপুল পরিমান পিঁয়াজ নষ্ট হতো। ফলে বাধ্য হয়ে কৃষকেরা অল্পদামে পিঁয়াজ বিক্রি করে লোকসানের মুখে পড়তেন।
মডেল ঘর হবার পর পি৭য়াজ সংরক্ষন করে লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে জানান কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রতিটি মডেল ঘর তৈরী করা হচ্ছে।
