সদরপুর

সদরপুরে ভোটের মাঠে নানা কৌশলে প্রার্থীরা


বিশেষ প্রতিবেদক।
৫ম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে গোটা এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন গুলোতে শেষ হওয়া নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হওয়ায় প্রার্থী ও ভোটারেরা রয়েছেন খোশ মেজাজে। শেষ মুহুর্তের প্রচারনায় বেশ জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শীত উপেক্ষা করে গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে। ভোটারদের মন জয় করতে বিভিন্ন গানের ছন্দে ভোট চাচ্ছেন প্রার্থীদের সমর্থকেরা। নয়টি ইউনিয়নের অলিগলি প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা এলাকা। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনী মাঠ। নির্বাচনে ৯টি চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে মাঠে লড়ছেন ৭১জন প্রার্থী। ২৭ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের বিপরীতে ৯৮ এবং ৮১জন সাধারণ সদস্য পদের বিপরীতে ৩০৪ জন ভোট যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশ কিছু ভোটারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা এমন প্রার্থীকে ভোট দিতে চান যারা এলাকার মানুষের সুখে দুখে সব সময় পাশে থাকেন। যারা হঠাৎ করে প্রার্থী হয়েছেন তাদের ভোট দেবেন না। এবারের নির্বাচনে ভিন্নধর্মী প্রচারনার কৌশল নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। মহিলা কর্মীদের মাঠে নামিয়েছেন একাধিক প্রার্থী।
সদরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে প্রচার-প্রচারনায় এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী চশমা প্রতিকের শহিদুল ইসলাম বাবুল ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটর সাইকেল প্রতিকের কাজী জাফর। এদের মধ্যে চশমা প্রতীকের শহিদুল ইসলাম বাবুলকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী মোল্যা সমর্থন দেওয়ায় তার পাল্লা ভারী হয়ে উঠেছে। এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতিক যিনি পেয়েছিলেন তিনি তার মনোনয়ন পত্র জমা দেননি।
কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ৫জন প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ আক্তারুজ্জামান তিতাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিল্লাল হোসেন ফকির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবেন। চরবিষ্ণপুর ইউনিয়নে ৮জন প্রার্থীরা মধ্যে স্বতন্ত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুল আলীম, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, মোঃ মারুফ হোসেন মৃধার মধ্যেই মূল লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটারেরা। চরনাছিরপুর ইউনিয়নে ৪জন প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার মিরাজ বেপারী, স্বতন্ত্র মোঃ রোকন উদ্দিন, মোঃ মজিবর রহমান মাতুব্বরের মধ্যেই লড়াই হবে। নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নে ৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। এ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত কুদ্দুস দেওয়ান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ নাছির উদ্দিন এর মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। চরমানাইড় ইউনিয়নে ১১জন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম এর সাথে মোঃ আইয়ুব আলীর লড়াই হবে। ভাষানচর ইউনিয়নে ১২জন প্রাার্থী রয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের মুঈদুল বাশার, স্বতন্ত্র তারা মিয়া মৃধা, শেখ গোলাম কাউছার, মোল্লা মাইনদ্দিন আহম্মেদ, সেক আঃ মান্নান, মোঃ ছমির বেপারী মূল লড়াই হবে। আকটেরচর ইউনিয়নে ৫জন প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত আছলাম বেপারী ও স্বতন্ত্র কাজী গোলাম রব্বানীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ভোটারেরা মনে করেন। ঢেউখালী ইউনিয়নে ১০জন প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত মোঃ মিজানুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ওমর ফারুক, রাজু আহমেদ এর সাথে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *