অপরাধ ফরিদপুর সদর

শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বাহিনী প্রধান খাজা সহযোগীসহ আটক

কামরুজ্জামান সোহেল।
ফরিদপুরের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী, বাহিনী প্রধান খাইরুজ্জামান ওরফে খাজাকে দুই সহযোগী সহ আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটককৃত খাজার বিরুদ্ধে ডাকাতি, দুস্যতাসহ ১৮টি মামলা রয়েছে। খাজাকে আটকের পর কানাইপুর এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্থি নেমে এসেছে। বাহিনী প্রধান খাজাকে আটকের ঘটনা নিয়ে শনিবার বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একপ্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। প্রেস ব্রিফিং থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও ট্রাইব্যুনাল) জামাল পাশা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুরের সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নসহ আশ পাশের এলাকায় নিজের নামে ‘খাজা বাহিনী’ সৃষ্টি করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। তার বিরদ্ধে ডাকাতি, দস্যুতা, ভুমি দখলসহ ১৮টি মামলা রয়েছে। তাছাড়া একটি অস্ত্র মামলায় সে ৪ বছর সাজা ভোগ করে সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পায়। খাজা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে জেল থেকে ছাড়া পাবার পর ‘খাজা বাহিনী’ ফের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। ‘খাজা বাহিনী’র অত্যাচারে অতিষ্ট ছিল সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। এ বাহিনীর চাঁদাবাজী, জমি দখল, মারপিটসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে দিশেহারা হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। তারা এ নিয়ে পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন জানান। এদিকে, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঈদের রাতে রাজবাড়ী-ফরিদপুর বর্ডার এলাকার লক্ষীকোল এলাকা থেকে বাহিনী প্রধান খাজাকে আটক করে। এসময় তার দুই সহযোগী সোহেল মাতুব্বর ও রাজু পাটোয়ারীতেও আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোটর সাইকেল, মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এদিকে, ‘খাজা বাহিনীর’ প্রধান খাজা সহযোগীসহ পুলিশের হাতে আটক হওয়ায় কানাইপুর ইউনিয়নের মানুষের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে। বাহিনী প্রধান খাজা যাতে আইনের ফাঁক গলে দ্রুতই মুক্তি না পায় সেজন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন কানাইপুর ইউনিয়নের ভুক্তভোগী হাজারো মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *