সুজাউজ্জামান জুয়েল।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর শহিদ মাতুব্বর হত্যা মামলার আসামীদের অব্যাহত হুমকির মুখে গ্রামছাড়া রয়েছেন মামলার বাদি শাহজাহান মাতুব্বরসহ সাক্ষিরা। বর্তমানে তারা সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে বিভিন্ন স্থানে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে, শহিদ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও বাদি-সাক্ষিদের নিরাপত্তার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন মো. শাহজাহান মাতুব্বর, আব্দুল হামিদ, এসকেন শেখ, রাশেদ শেখ, এরশাদ, সিদ্দিক মাতুব্বর। মামলার বাদী নিহতের চাচা শাহজাহান মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, শহিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী, মানিকদহ ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব ফকির হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ড থেকে রাষ্ট্রপতির সাধারন ক্ষমায় মুক্ত আলোচিত আসলাম ফকির সম্প্রতি জামিন নিয়ে এলাকায় এসে ফের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। আসলাম ফকির ও তার বাহিনীর অব্যাহত প্রাননাশের হুমকি ও মারপিটের কারনে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি সহ মামলার কয়েকজন সাক্ষি। মানববন্ধন থেকে বলা হয়, এ বছরের ২১ এপ্রিল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সদরপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আসলাম ফকির ও তার লোকজন প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা বাড়ী ঘর ভাংচুরের পাশাপাশি শহিদ মাতুব্বরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার পর নিহতের চাচা থানায় আসলাম ফকিরকে প্রধান আসামী করে ৫৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর আসলাম ফকির এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে র্যাবের একটি দল যশোরের সীমান্তবর্তী স্থান থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসলাম ফকিরকে গ্রেফতার করে। এছাড়া এ মামলার অন্যান্য আসামীদেরও বিভিন্ন সময় আটক করা হয়। দেড়মাস জেল খেটে এ হত্যা মামলার বেশীর ভাগ আসামীই জামিনে আসে। আসলাম ফকিরসহ তার সহযোগীরা জামিনে এসে এলাকায় ফের ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে। শহিদ মাতুব্বর হত্যা মামলার সাক্ষিদের প্রাননাশের হুমকিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার পাশাপাশি কয়েকজনের উপর হামলা চালিয়ে আহত করা হয়। সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে এলাকা থেকে চলে আসতে বাধ্য হন মামলার বাদিসহ সাক্ষিদের অনেকেই। বর্তমানে এসব পরিবারের সদস্যরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
