বিশেষ প্রতিবেদক।
ফরিদপুরের ভাঙায় মীর তৌহিদুল হাসান (তুহিন) নামের এক স্কুল শিক্ষককে নানাভাবে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত শিক্ষক সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ করে বলেন, তিনি ভাঙায় অবস্থিত ৬৪নং দক্ষিন ধর্মদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ভাঙা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি, ভাঙা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় গনমাধ্যম গুলোতে। সেই দুর্নীতির সংবাদটি তিনি তার ফেসবুক-এ প্রচার করেন। এ নিয়ে চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা তাকেসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষককে নানাভাবে হয়রানীর চেষ্টা করছেন। তাছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে তাকেসহ কয়েকজন শিক্ষককে শান্তিতে চাকুরী করতে দেবেন না বলে ঘোষনা দিয়েছেন। এতে তিনিসহ বেশকিছু শিক্ষক আতংকিত হয়ে পড়েছেন। শিক্ষা কর্মকর্তা কতৃক শিক্ষকদের হয়রানীর বিষয়ে শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, ভাঙা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুন্সী রুহুল আসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন শিক্ষককে হয়রানী কিংবা হুমকি দেইনি। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমার সাথে তৌহিদুল হাসানের কোন কথাই হয়নি। তাকে কেন আমি হয়রানী করবো। যে অভিযোগ করেছে সে ঠিকমতো স্কুল করেনা। শুধু হাজিরা দিয়েই সে চলে আসে।
