হত্যা মামলার সাক্ষি হওয়ায় হুকুমের আসামীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর দাদপুর ইউনিয়নের মোবারকদিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
হত্যা মামলার সাক্ষি সিরাজুল ইসলাম ওরফে জাকু সর্দার (৫৫) নামে আহত ওই ব্যক্তিকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেবার পর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাকু সর্দারের ভাতিজা তাহের মোল্যা বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার ভাই জুয়েল মোল্যা ও জাকু সর্দার একটি মোটর সাইকেলে রাঙা মুলারকান্দির দিকে এক আত্মিয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামীম মোল্যার নেতৃত্বে তাদের উপর এ হামলা হয়।
তিনি জানান, জুয়েল মোল্যা পালাতে পারলেও জাকু সর্দার প্রথমে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে মোবারকদিয়া মাঠের পাট ক্ষেত দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে আট করে কুপিয়ে ও বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। রড ও শরকি দিয়ে দুই পায়ে ১১টি ও দুই হাতে ৩টি গভীর কোপ সহ মাজার নিচে সারা শরীর পিটিয়ে থেতলে দেয়া হয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের কিবরিয়া (১৭) ও বক্কর (১৮) নামে দুই কিশোরের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে বাক প্রতিবন্ধী সলেমান মোল্যা ওরফে বোবার বাড়িতে হামলা হয়। এসময় সলেমান মোল্যার বড় ভাই মুনসুর মোল্যা (৬৫) ঠেকাতে গেলে গুরুতর আহত হন। বুধবার ভোররাতে সে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মুকুল মোল্যা বাদি হয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামীম মোল্যাকে হুকুমের আসামী করে ২১ জনের নামউল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জনকে আসামী করে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলার প্রধান সাক্ষি হন সিরাজুল ইসলাম ওরফে জাকু সর্দার।
বোয়ালমারী থানার ওসি আমিনুর রহমান জানান, জাকু সর্দারের উপর হামলার ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
