ফরিদপুর জেলার মধুখালীতে অসহায় দরিদ্র এক বিধবার জমি জোরপূর্বক দখল করে পুকুর খনন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঐ ব্যক্তির নাম মির্জা মাজহারুল ইসলাম মিলন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভাতিজা। মিলন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মধুখালী থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ঐ নারী।
বিলকিছ বেগমের অভিযোগ, জমি ফিরে পেতে গ্রামবাসী ও বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারস্ত হয়েও কোনো লাভ হয়নি। মিলন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভাতিজা হওয়ায় এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য থাকায় কেউই মিলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। মিলনের বাহিনীর ভয়ে এলাকার কেউই মুখ খুলতে সাহস পায় না বলে জানান ঐ নারী। তিনি জানান, মিলনের বিরুদ্ধে জমি দখল ছাড়াও হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে সরকারি বাঁওড় দখলের অভিযোগ উঠেছে মিলন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এসংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মত্স্য কর্মকর্তা শিরিন শারমিন খান বলেন, ‘বৈকুণ্ঠপুর বাঁওড়টি সরকারি উন্মুক্ত জলা। কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ে মাছ চাষ করায় আমি এ বাঁওড়ে কোনো মত্স্য অবমুক্ত করি নাই। তবে আগের কর্মকর্তারা বৈকুণ্ঠপুর বাঁওড়ে মাছ অবমুক্ত করেছেন বলে জেনেছি।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে মিলন বলেন, ‘সব অভিযোগই অসত্য ও ভিত্তিহীন। ঐ বাঁওড়ে মত্স্যজীবী সমিতির নামে মাছ চাষ করা হয়। আমি সমিতির সদস্যমাত্র। অভিযোগ থাকলেও সেটা করার কথা সমিতির সভাপতি, সম্পাদকের নামে। মধুখালী পৌর নির্বাচনে আমি নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ একটি চক্র ষড়যন্ত্রে নেমেছে।’ অভিযোগকারী ঐ বিধবার সঙ্গে তার কখনো দেখা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, থানার পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা মনোয়ার বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।