বিশেষ প্রতিবেদক।
ফরিদপুরে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৬জনসহ ১২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৭ জন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকাল সাতটার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দিতে মাইক্রোবাসের সাথে ট্রাকের মুখোমুুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের দুইজন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ১০ জন। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশের সহায়তার আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো ৭ জন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানায় চিকিৎসকেরা। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- আমেনা বেগম, কুটি বেগম, মরিয়ম, আইনজীবি আব্বাস সরদার, নজরুল ইসলাম। দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ থেকে একটি মাইক্রোবাসযোগে ১২জন ঢাকায় একটি কাজে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ফরিদপুরের মাঝকান্দিতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজীবেড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম সেলিম রেজা জানান, ওয়ারিসের পাওনা টাকা নিয়ে ঢাকায় মামলার কাজে হতাহতরা দুই আইনজীবিকে সাথে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার একই গ্রামের ৯ জন নিহত হওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে, রবিবার ভোরে ভাঙ্গা সদরের চৌরাস্তা মোড়ে প্রাইভেটকার-মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয় ১ জন। নিহতেরা হলেন মোটর সাইকেলের আরোহী বিশ^বিদ্যালয় পড়–য়া সাকিল খান ও নাইমুর রহমান। এছাড়া রবিবার দুপুরে ফরিদপুরের সদর উপজেলার বাখুন্ডা নামক স্থানে মাটি টানা ট্রলি চাপায় সুমন শেখ নামের এক শিশু নিহত হয়।
