স্টাফ রির্পোটার # ফরিদপুরের বিখ্যাত সংগীত সাধক করুনাময় অধিকারী (৮৬) গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফরিদপুর ডায়াবেটিকস হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
উচ্চাঙ্গসংগীতশিল্পী, শুদ্ধ সংগীত চর্চা প্রেমী, ভক্ত ও শিক্ষার্থীবৃন্দের কাছে এ গুণী সাধক সর্বমহলে ‘মাস্টার মশাই’ নামে সুপরিচিত।
হৃদরোগ,ফুসফুস, কিডনী, অগ্ন্যাশয়,গলব্লাডারে পাথরসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে তিনি হাসপাতালে অধ্যাপক ডা : ইউসুফ আলীর চিকিৎসাধীন আছেন, বলে জানিয়েছেন তার ছেলে চপল অধিকারী। ফরিদপুর ডায়েবেটিক হাসপাতালের নতুন ভবনের ৪৫৬ নং কেবিনে শয্যাশায়ী করুনাময় অধিকারীর অবস্থা ক্রমশ অবনতি হয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় ছটফট করছেন এ সংগীতগুরু। দ্রুত তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্য ও ভক্তবৃন্দ। সংগীত সাধনার পাশাপাশি তিনি ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষকতা শেষে ১৯৯৪ সালে অবসরে যান। খ্যাতিমান এ সংগীতব্যাক্তিত্ব নানা পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি ফরিদপুরে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
কৃতিমান এ সংগীত সাধক ১৯৩৩ সালে রংপুর জেলায় পিতা কানাই লাল অধিকারী ও মাতা বিমলা সুন্দরী দেবীর ঘরে জন্মগ্রহন করেন। সাদাসিদে ও অনাড়ম্বর জীবনযাপনে অভ্যস্থ এ সরলপ্রাণ মানুষটি ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামটস্থ সিংপাড়া সড়কের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন শুদ্ধ সংগীত চর্চার আতুরঘর। গতকয়েক দশকে এখানে উচ্চাঙ্গসংগীত ও রবীন্দ্রসংগীতে তাঁর কাছে হাতেখড়ি নিয়েছে শতশত শিক্ষার্থী। জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী বাদল দাস বলেন, আমি মাস্টার মশাইয়ের ছাত্র। তাঁর শারিরীক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তিনি তাঁর সুস্থতার জন্য সকলের আর্শীবাদ কামনা করেছেন। উদীচীর জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মোতালেব ও বিশিষ্ট নারীনেত্রী আসমা আক্তার মুক্তাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাস্টার মশাইয়ের দ্রুত আরোগ্য লাভ কামনা করেন।
