কন্ঠ রিপোর্ট #
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান খান বলেছেন, ফরিদপুরে যারা দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা অর্জন করেছে তাদের রেহাই নেই। দুর্নীতি-অপকর্ম করে আর কেউ পার পাবেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরের মহা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে নেমেছেন। পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন কয়েকজন। এখনো আটকের তালিকায় রয়েছে আরো কয়েকজন। তারা যে কোন সময় আটক হবে। ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে যারা এতদিন দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নির্যাতন, হামলা করে মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন তাদের কঠোর বিচার করা হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরের ডিক্রিরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার বিকেলে সিএন্ডবি ঘাটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ডিক্রিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হায়দার আলী খান, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগ করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবার বিভিন্ন সময় নির্যাতন, হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগ করার অপরাধে তাকে বিভিন্ন সময় নাজেহাল করা হয়। আওয়ামী লীগ আমলেও তিনি হামলা-মামলা ও নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চান এবং নৌকা প্রতিক পান। কিন্তু চক্রান্ত করে একটি মহল তার কাছ থেকে নৌকার মনোনয়নটি ছিনিয়ে নেয়। বিএনপি থেকে আসা সাদেকুজ্জামান মিলন পালের কাছে নৌকার মনোনয়ন বিক্রি করে দেন কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবার পর আমাকে প্রাননাশের হুমকি দেওয়া হয়। আমাকে এবং আমার লোকজনকে প্রচার প্রচারনাও চালাতে দেওয়া হয়নি। নির্বাচনে জয়ী হবার পরও সেই চক্রটির ষড়যন্ত্র অব্যাহত ছিল। তারা আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নাজেহাল করে। আমাকে পরিষদ থেকে সরিয়ে দিতে তারা মেম্বারদের দিয়ে জোর করে অনাস্থা প্রস্তাব আনার চেষ্টা চালায়। মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, সিএন্ডবি ঘাটের ইজারা নিয়ে প্রভাবশালী মহল নানা ষড়যন্ত্র করছে। ঘাটের ইজারা আমি বৈধভাবে পেলেও আমাকে তা নিতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ আমলেও আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয়েছে। দলে যারা অনুপ্রবেশকারী তারা আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করার কথা বলেছিল। আমি শুধুমাত্র আমার এলাকার মানুষের দোয়া ও ভালোবাসার কারনে টিকে ছিলাম। আমার জনগন আমার সাথে ছিল। তারা আমার সাথে ছিল বলেই চক্রান্তকারীরা কোন ক্ষতি করতে পারেনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে অনেক নেতাই হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। দুর্নীতি আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন। অথচ আমি আওয়ামী লীগ করেও কোন কাজ করতে পারিনি। আমার পেত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে আমি রাজনীতি করে যাচ্ছি। আমার উপর দলের সুবিধাবাদিরা নানাভাবে অন্যায় কাজ করেছে। যারা এসব করেছে তাদের অনেকেই এখন পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলে রয়েছেন।
আলোচনা সভা শেষে ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
