ঝিনাইদহ প্রতিনিধি #
‘ইবার ১০ কাঠা জমিতে ঝালের আবাদ করিছি। ঝাল জমি থেকে তুলতি নেচ্ছে ৫ টাকা আর বাজারে আসে বিক্রি করলাম ৬ টাকা। একুন খরচ উটায় দায়।’ এভাবে আক্ষেপ করছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শাখারীদহ গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমান।
তার মত জেলার অন্যান্য উপজেলার কৃষকদেরও একই দশা। পানির দরে বিক্রি হচ্ছে তাদের উৎপাদিত সবজি। জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের মুল্যে পাচ্ছে না তারা। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার শহরের নতুন হাটখোলা পাইকারী বাজারে গিয়ে দেখা যায়। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ টাকায়, ফুলকপি, ৬ টাকা, বাঁধা কপি ৭ টাকা, মূলা ৫ টাকা।
উৎপাদিত পণ্যের মুল্যে না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক। সদর উপজেলার সোনাতনপুর গ্রামে কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, তিনি ৪৬ শতক জমিতে এ বছর ফুলকপি আবাদ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাজারে কপি এনে বিক্রি করলেন ৬ টাকা কেজি দরে। এতে লোকসানের সম্মুখিন হচ্ছেন তিনি। কৃষকদের দাবি, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এবং সবজি সংরক্ষণাগার স্থাপন করা হলে সবজির আবাদ বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষকরা লাভবান হবেন।
