বিশেষ প্রতিবেদক।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোটা ইউনিয়নজুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র গ্রুপিং শুরু হেেয়ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যানসহ একাধিক প্রার্থী। কিন্তু সবাইকে টেক্কা দিয়ে মনোনয়ন বাগিয়ে নেন খন্দকার মোঃ আবুল বাশার বাসু। আবুল বাশার বাসু নৌকা প্রতিক পাওয়ায় একাধিক প্রার্থী শুরু থেকেই বিরোধীতা করে আসছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা লিটু শরীফ দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি। ফলে তিনি ক্ষুব্দ হন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিক চেয়ে না পেয়ে বিদ্রোহী হিসাবে প্রার্থী হন বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মহম্মদ রফিকুল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা লিটু শরীফের আপন ভাই বাবলু শরীফ। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেছেন, দলের মনোনয়ন না পেয়ে দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা শেখ হাসিনার নৌকাকে ডোবাতে একাট্রা হয়ে কাজ করছেন। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা কুৎসামূলক রটনা রটিয়ে দলের এবং প্রার্থীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন। এছাড়া নৌকা বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা প্রচারনায় বাঁধা প্রদান করছেন। চতুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েক নেতা বলেন, এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসাবে বিএনপির এক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। সেই বিএনপির প্রার্থী কিংবা তাদের সমর্থকেরাও এতোটা ক্ষতি করতে পারছেনা, যা ক্ষতি করছেন দলের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী। তাদের অভিযোগ, বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা হয়েও দলের প্রার্থীর পক্ষে না থেকে তার ভাইয়ের পক্ষে গোপনে কাজ করছেন। তিনি চাইছেন নৌকা যাতে এ ইউনিয়নের ডুবে যায়। আওয়ামী লীগের প্রার্থী খন্দকার আবুল বাশার বাসু অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রতিক না পেয়ে বিদ্রোহী হিসাবে দুইজন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। তাদের মধ্যে যুবলীগের আহবায়ক এবং বর্তমান চেয়ারম্যানের ভাই রয়েছেন। তারা নৌকাকে পরাজিত করতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমাদের কর্মীদের নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন। বিদ্রোহী হিসাবে যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিষয়ে দল থেকে তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। তিনি প্রশ্ন্ করে বলেন, যারা আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে পরিচয় দেয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং নৌকার অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে এখনো কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। এদিকে, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে যুবলীগের আহবায়ক মহম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রার্থী হওয়ায় যুবলীগ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে। ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু ও যুগ্ম আহবায়ক শামীম তালুকদার, শাহ সুলতান রাহাত সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের বিষয়ে দল থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানান বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া। তিনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের দল থেকে বহিস্কার করা হবে।
