কামরুজ্জামান সোহেল #
এতদিন ধরে আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐহিত্যবাহী লাঠিখেলা, নৌকা বাইচ, হা-ডু-ডু, সাপ খেলাসহ নানা খেলা দেখে আসছিল মানুষ। এবার ভিন্ন রকমের এক আয়োজন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ফরিদপুরের চরাঞ্চলের মানুষ। ভিন্নধর্মী এ আয়োজন ছিল কলের লাঙলের প্রতিযোগীতা। শুধুমাত্র প্রতিযোগীতা বললে ভুল হবে। কলের লাঙল দিয়ে কৃষকের জমি চাষাবাদও করা হয়েছে সম্পূর্ন বিনা খরচে। শনিবার দিনব্যাপী ব্যতিক্রমী এ আয়োজনটি করা হয়েছে ফরিদপুরের সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের রশিদ মুন্সী ডাঙ্গী গ্রামে। কলের লাঙল নিয়ে প্রতিযোগীতা ও জমি চাষাবাদে অংশ নেয় বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কয়েকশ কৃষক। স্থানীয় এলাকাবাসী ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর সিদ্দিকী ভিন্নধর্মী এ আয়োজন করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক কৃষিবিদ গোপাল কৃষ্ণ দাস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আবুল বাশার মিয়া, মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, আদর্শ কৃষক আমিনুজ্জামান।
সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে দেড় শতাধিক কলের লাঙল নিয়ে প্রতিযোগীতায় নামেন প্রতিযোগীতারা। পরে শতাধিক কলের লাঙলের মাধ্যমে কয়েকশ একর জমি চাষাবাদ করা হয়। বিনামূল্যে কৃষকের এসব জমি চাষাবাদ করে দেয়া হয়। চাষাবাদ শেষে জমি গুলোতে একযোগে চাষীরা মুড়িকাটা পেয়াজ, রসুন রোপন করেন।
দিনব্যাপী ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে গরু জবাই করে ভোজের আয়োজন করা হয়। কলের লাঙলের এ প্রতিযোগীতা দেখতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো মানুষ ভীড় করে অনুষ্ঠান স্থলে।
কলের লাঙল প্রতিযোগীতার আয়োজক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সম্মিলিত ভাবে জমি চাষাবাদ করলে উৎপাদন খরচ কম হয়। অল্প সময়ে অধিক জমিতে ফসল রোপণ করা যায়। এছাড়া চাষীদের মাঝে মেলবন্ধনের সৃষ্টি হয়। চাষীদের এসব বিষয় মাথায় রেখে ভিন্নধর্মী এ আয়োজনটি করা হয়। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কলের লাঙল মালিকদের খবর দেয়া হয়। প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া কৃষক-কৃষানীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।
