ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন বলেন, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা বেশ ভালো। এক বছর ধরে কমিটি না থাকলেও করোনাকালীন সময়ের কারনে দলীয় কর্মকান্ড কিছুটা স্থবির ছিল। আর সেটাই স্বাভাবিক। এক বছর ধরে কমিটি না থাকাটা বড় একটি দলের জন্য কিছুটা হলেও বিব্রতকর। দলের তৃনমূল নেতা-কর্মীরা চাইছেন, দ্রতই কমিটি ঘোষনা করা হোক। কমিটি থাকলে কাজ করতে এবং আন্দোলন-সংগ্রাম করতে সহজ হয়। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় তেমন কোন অনুষ্ঠান কিংবা কর্মসূচি পালন করতে পারছিনা। দলের মধ্যে নেতৃত্বের লড়াই কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে রশিদুল ইসলাম লিটন বলেন, বিএনপি একটি বড় দল। আর এই দলে নেতৃত্বের লড়াই থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। নেতৃত্বের লড়াই থাকলেও আমাদের মধ্যে বড় ধরনের কোন গ্রুপিং নেই। দলের বড় একটি অংশ চাইছে, আগামী দিনে যে কমিটি করা হবে সেটি যেন সম্মেলন ও সকলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে হয়। কেউ যেন উড়ে এসে জুড়ে না বসে। আর তেমনটি হলে অনেকেই তা মানবেন না। বিগত দিনে যারা আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়ে শরীর থেকে রক্ত ঝড়িয়েছে, হামলা-মামলার শিকার হয়েছে, সেইসব পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। সাবেক এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বিএনপি সাধারন মানুষের দল। সব সময় মানুষের কল্যানে কাজ করে বিএনপি। করোনাকালীন সময়ে বিএনপির নেতারা ঘরে বসে থাকেনি। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে ত্রাণ বিতরন করেছি। অনেক বিএনপি নেতা তাদের নিজেদের অর্থ দিয়ে করোনা এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরন করেছে। এখনো আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত হয়েছে। শুধু সাধারন জনগনের পাশেই দাঁড়ায়নি দলের নেতারা। আমাদের কোন কর্মী অসহায় অবস্থার মধ্যে থাকলে তাকেও আমরা সাধ্যমতো আর্থিক সহযোগীতা করেছি। ত্রাণ সামগ্রী বিতরন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, বিএনপি কখনোই দলীয় বিবেচনা করে ত্রাণ বিতরন করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ কিছু ত্রাণ বিতরন করলেও তারা তা বিলি করেছে তাদের দলীয় লোকদের। ফলে অসহায় সাধারন মানুষ ত্রাণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিগত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের ধারা বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হবার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, এক সময় ফরিদপুর জেলায় রাজিৈনতক দল গুলোর মাঝে সৌহার্দ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সেটি আর নেই। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা উপেক্ষিত থাকায় কতিপয় নেতারা স্টিমরোলার চালায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর। তাদের হামলা থেকে রেহাই পাননি প্রবীন রাজনীতিবিদ, তিনবাবের মন্ত্রী, পাঁচ বারের সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও তার মেয়ে নায়াবা ইউসুফ। আওয়ামী লীগে বর্তমানে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, তাতে প্রভাবশালী ও দুর্নীতিবাজ নেতারা ধরা পড়েছেন। ফলে আমরা মনে করছি, আগামীতে ফরিদপুরের রাজনৈতিক যে ঐতিহ্য ও সহবস্থান ছিল তা বজায় থাকবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে বিগত দিনে যে অপরাজনীতি হয়েছে তাতে করে ক্ষতি শুধু আওয়ামী লীগেরই হয়নি, বিএনপিও হয়েছে।
