একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মূল প্রচারণায় নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ জোবায়দা রহমান। মাঠ নেতাদের চাঙ্গা করতে তারেক রহমানের সহধর্মীনী জোবায়দা রহমানকে ফ্রন্টলাইনে আনার প্রক্রিয়া অনেকটা চূড়ান্ত করে ফেলেছে রাজনীতিতে কোণঠাসা বিএনপি। জিয়া পরিবারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, ঝিমিয়ে পড়া দলকে পুর্ণজাগরণ এবং কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখার কৌশল হিসেবেই জোবায়দাকে মাঠে রাখতে চায় বিএনপি।
আর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হবার আগ্রহও রয়েছে পেশাদার চিকিৎসক জোবায়দা রহমানের। লন্ডন হাইকমিশনে জমা থাকা পাসপোর্ট হাতে পাবার পরেই দেশে আসার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করবেন তিনি। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার বরাতে জোবায়দার বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।
বহু বাধা-বিপত্তির পর গত রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের ঘোষণায় প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের চাইতে অনেকটাই পিছিয়ে বিএনপি। আর জিয়া পরিবারের নানামুখী স্ক্যান্ডালেও জর্জরিত দলটি। এছাড়া বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দু’জনেই দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে আর তারেক রহমান ফেরার হয়ে যুক্তরাজ্যে।
একটি মামলায় হাইকোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশের জেরে তাঁদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে মূল নেতৃত্বে থাকাও অনেকটা অনিশ্চিত। এ বাস্তবতায় জিয়া পরিবার থেকে জোবায়দার মতো স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কাউকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে আনলে ভোটারদের মাঝে যেমন স্বচ্ছ বার্তা দেওয়া যাবে। পাশাপাশি দলের ঝিমিয়ে পড়া কর্মীরাও চাঙ্গা হবেন।
এমনটাই মনে করছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তারেক রহমানের এক ঘনিষ্ঠজন জানান, গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব ছাড়া ভারতের কংগ্রেস যেমন চলতে পারেনা, শীর্ষ পদে শেখ পরিবারের কাউকে ছাড়া আওয়ামী লীগ যেমন ভাবা যায়না, ঠিক তেমনি জিয়া পরিবারের কাউকে ছাড়া বিএনপির নেতৃত্বও টিকবে না। বিএনপির সূত্র জানায়, আপাতত সিলেট অথবা বগুড়া থেকে জোবায়দাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ দিয়ে দলের ভাইস-চেয়ারম্যান করে নির্বাচনের কাজে সমন্বয়কের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে খালেদা জিয়া এবং তারেকের মধ্যে দফায়-দফায় কথা হয়েছে বলে জানা গেছে। আসন্ন নির্বাচনে সিলেট,ফেনী এবং বগুড়ার একাধিক আসনে প্রার্থী তালিকায় জোবায়দার নাম রাখা হয়েছে।