ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ি গ্রামে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মাঝে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে ৫ পুলিশ সদস্যও রয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করেছে। রবিবার রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার ওমর হাফিজ মুক্তির সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আলীর আহমেদ সাকুর বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে রবিবার রাত ৮টার দিকে উভয়পক্ষের কয়েকশ সমর্থক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। এসময় হামলায় ১৫টি বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপরও হামলা হয়। হামলাকারীরা পুলিশ একটি গাড়ী ভাংচুর করে। হামলা থামাতে গিয়ে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়। দুই ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৫টি সাউন্ড গ্রেনেড, ২০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে। বোয়ালমারী থানার ওসি মোঃ আমিনুর রহমান জানান, সংঘর্ষের পর সোমবার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
