সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, ‘ফরিদপুর আওয়ামী লীগে কোনো বিভাজন নেই, নেই কোনো গ্রুপিং। কোনো নেতার বিচ্ছিন্ন আচরণের দায় জেলা আওয়ামী লীগ নেবে না। অনেকে নিজেকে অনেক বড় নেতা ভাবতে পারেন। মনে রাখবেন, আওয়ামী লীগ থেকে মাইনাস হলে আপনার কোনো ক্ষমতা নেই। এর উদাহরণ কামাল হোসেন ও কাদের সিদ্দিকী। তাঁদের থেকে শিক্ষা নেন। আওয়ামী লীগ থেকে মাইনাস হয়ে টিকতে পারবেন না। উনি আওয়ামী লীগ থেকে মাইনাস হয়ে গেলে নিজের ওজন টের পাবেন।’
সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে গিয়ে আমাদের মধ্যে যদি দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে থাকে, তা কথা বলে ঠিক করে নিন। এসব বিষয়ে জনসভা রে বা পত্রিকায় বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়া শোভনীয় নয়। আসুন আমরা বসি, আলাপ করি। ভুল থাকলে শুধরে নিই।’
বিপুল ঘোষ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ফরিদপুর আওয়ামী লীগের মধ্যে একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। প্রশাসনের মধ্যে কিছু লোক এই ত্রাসের কাজে সহযোগিতা করছেন।
প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বিপুল ঘোষ বলেন, ‘আমি বলতে চাই, প্রশাসন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। সরকারের বেতন খান। রাজনীতি করার জন্য আপনাদের এখানে নিয়োগ করা হয়নি। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের মধ্যে আপনারা যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন, তার জবাব আপনাদের দিতে হবে।’