সোহাগ জামান #
ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর এলাকায় তালাবদ্ধ একটি ঘর থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টায় দিকে শিরিন (২০) নামের ঐ গৃহবধুর লাশটি উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
বাড়ির মালিক মোতালেব জমাদ্দার জানায়, বিগত ৩ মাস ধরে তাদের বাড়ি ভাড়া নেয় সালথা উপজেলার সোহান মিয়া। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই থাকতো তাদের বাড়িতে। সোহান স্থানীয় একটি গ্যাস সাপ্লাইয়ের দোকানে কাজ করতো। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালে সোহান সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। শুক্রবার রাতে নিহত শিরিনের মা বাড়ির মালিককে ফোন করে জানায় তার মেয়ের জামাই মেয়েকে খুন করে পালিয়েছে। এ খবর শুনে বাড়ির মালিক পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে খাটের উপর শোয়ানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। তবে কি কারনে শিরিনকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি বাড়ীর মালিক ও শিরিনের স্বজনেরা।
নিহত শিরিনের মা জানায়, ঘাতক জামাই সোহান সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাদের বাড়িতে ফোন করে বলে শিরিনকে খুন করে ঘরের মধ্যে লাশ রেখে ঢাকায় চলে এসেছে। শিরিনের লাশটি যেন তারা ফরিদপুরে গিয়ে নিয়ে আসে। এ খবর পাওয়ার পরে নিহত শিরিনের মা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে ফোন করে বাড়ির মালিককে জানায়। পরে শিরিনের স্বজনেরা ফরিদপুরে আসে। নিহত শিরিনের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলায়।
ফরিদপুর সদর সার্কেলের এএসপি রাশেদুল ইসলাম জানান, বাড়ির মালিকের ফোন পেয়ে একটি ঘরের তালা ভেঙ্গে খাটের উপর শোয়ানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করি। লাশটি দেখে মনে হচ্ছে বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময় শ্বাসরোধ করে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সোহান মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে।
