এক্সক্লুসিভ ফরিদপুর সদর

পাকা সড়কে কাদামাটিতে মরনফাঁদ

কামরুজ্জামান সোহেল #
ফরিদপুর পৌরসভার টেপাখোলা ও শহর সংলগ্ন ডিক্রিরচর ইউনিয়নের সিএন্ডবি ঘাট-মুজিব সড়কের কয়েক কিলোমিটার পাকা সড়ক এখন মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত মাটি ও বালুর ট্রাকের পড়ে থাকা মাটি বৃষ্টির কারনে কাদা-পানিতে সয়লাব থাকায় অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে এসড়ক দিয়ে চলাচলরত হাজারো মানুষসহ বিভিন্ন যানবাহন গুলো। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালের বৃষ্টিতে এ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই বেশ ঝুঁিকর মধ্যে দিয়ে এ সড়কে চলাচল করছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মোটর সাইকেল, ইজিবাইক ও ছোট কয়েকটি ট্রাক দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, সিএন্ডবি ঘাট এলাকায় বেশ কয়েকটি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার মাটি টানা ট্রাক ও ট্রলি বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি আনছে। আর এসব ট্রাক ও ট্রলির মাটি পড়ছে সড়কে। তাছাড়া সিএন্ডবি ঘাট থেকে প্রতিদিন কয়েকশ ট্রাক মাটি ও বালু যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। ফলে দিনের পর দিন সড়কে মাটি পড়ে থাকায় সড়কটি এখন মাটির রাস্তায় পরিনত হয়েছে। সবচে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয় বৃষ্টির সময়। বৃষ্টির কারনে সকাল থেকে সড়কটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছেনা। এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ইজিবাইকের চালক রহমত শেখ, ট্রাক চালক আজিমুদ্দিন জানান, বৃষ্টির কারনে সড়কের পড়ে থাকা মাটি এতটাই পিচ্ছিল হয়েছে যে গাড়ী চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। প্রতিবছর বৃষ্টি মৌসুমে সড়কটি বেহাল থাকলেও দেখার কেউ নেই। স্থানীয় এলাকাবাসী শফিকুল ইসলাম, তানিয়া বেগম, লতিফ খাঁ জানান, গতরাতের বৃষ্টির কারনে এ সড়কটি কাঁদা-পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। এ সড়কদিয়ে এখন চলাচল করাই দায়। এসড়কটি দিয়ে বেশ কয়েকটি স্কুলের ছেলে-মেয়েরাসহ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। সড়কে মাটি পড়ে পিচ্ছিল হয়ে পড়ায় যাতায়াতের খুব সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটার কারনে ট্রাক ও ট্রলি থেকে মাটি সড়কে পড়ে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও দেখার কেউ নেই। প্রশাসন শক্ত হাতে বিষয়টির দিকে নজর না দিলে বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে। তাদের অভিযোগ, ট্রাকের চেয়ে সড়কটি দিয়ে চলাচলরত ট্রলি গুলোই বেশী ভয়ংকর। ট্রলি থেকে অহরহ মাটি পড়ছে। আর ট্রলিতে কাঁদামাটি আনা নেওয়ার ফলে বেশীর ভাগ কাদামাটি সড়কে পড়ছে। মাটিটানা ট্রলি গুলো বন্ধের দাবীও জানান তারা।
ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান জানান, এ বিষয়টি নিয়ে সে খুবই বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী যা ইচ্ছে তাই বলছে। তিনি নিজে ইটভাটার মালিকদের কাছে একাধিকবার বললেও কেউ তা মানছেনা। তিনি বলেন, প্রশাসনের উচিত দ্রুতই এ বিষয়টির দিকে নজর দেয়া। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় তিনি এ সড়কের দুইপাশে ড্রেন করার জন্য প্রস্তাব করেছিলেন। যদি সড়কের দুইপাশে ড্রেন করা হয় তাহলে পানি দিয়ে মাটি-কাদা ধুয়ে ড্রেনের মধ্যে ফেলা হলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হবেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *