

নগরকান্দা প্রতিনিধি
ফরিদপুরের নগরকান্দায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে, রাতের আধারে অর্ধশতাধিক মেহগনি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের কৌরবালী গ্রামে। এ ঘটনায় নগরকান্দা থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কৌরবালী গ্রামের মৃত আলেম মাতুব্বরের ছেলে পাচু মাতুব্বর তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৯ শতাংশ জমিতে ১০ /১২ বছর আগে মেহগনি গাছের বাগান করে। গোপনে পাচু মাতুব্বরের ভাতিজা বাবলু মাতুব্বর প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলীর ছেলে আরাফাতে নিকট একই জমি বিক্রি করে দিলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ফলে দুই পক্ষই জমির মালিকানার দাবীতে আদালতের শরণাপন্ন হয়। গত বুধবার বিকালে একই গ্রামের মৃত মোবারক মাতুব্বরের ছেলে মোহাম্মদ আলী টিনের বেড়া দিলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পাচু মাতুব্বর। একই দিন দিবাগত রাতে মোহাম্মদ আলী মাতুব্বর ও তার সাথে থাকা লোকজন সেই বাগানের অর্ধশতাধিক মেহগনি গাছ কেটে ফেলে মাটি ভরটের চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে পাচু মাতুব্বর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গিয়ে মাটি ভরটের কাজ বন্ধ করে দেয়।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী পাচু মাতুব্বর বলেন, জায়গাটি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এই জমিতে বাবলু মাতুব্বর আড়াই শতক জমি পাবে। যা অন্য জায়গা হতে তিনি আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। এই জমিতে তার কোন অংশ নেই। অথচ কাগজপত্র না খতিয়ে পাশ্ববর্তী আরাফাত জমি ক্রয় করেছেন। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এখন তিনি আমার বাগানে থাকা সম্পুর্ন গাছ কেটে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আলী মাতুব্বর বলেন, আমার ছেলে আরাফাত মাতুব্বর জায়গাটি ক্রয় করেছে। সে জায়গায় পাকা ভবন নির্মাণ করার জন্য মেহগনি গাছগুলো কাটা হয়েছে।
চরযশোরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামা সাহেব ফকির বলে, দুই পক্ষের কাগজপত্র দেখে, দুই পক্ষকে এক জায়গায় ডেকে আগামী সাত দিনের মধ্যে মিমাংসা করে দেয়া হবে।
নগরকান্দা থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাদের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলছে। গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত করে, চরযশোরদী ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব ফকির বিষয়টি সমাধান করে দিতে চেয়েছেন।