বিশেষ প্রতিনিধি # ব্যক্তিগত রেষারেষি ও সীমাহীন দুনীতির কারণে অভিজাত সোশ্যাল ক্লাব হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাব ডুবতে বসেছে। আসন্ন বার্ষিক নির্বাচনকে সামনে রেখে বিষয়গুলো ক্লাব সদস্যদের ভাবিয়ে তুলছে। আর এসবকিছুর জন্য ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সেলিম আখতার চৌধুরীর সীমাহীন দুর্নীতিকে দায়ী করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমলে তৈরী এ ক্লাবটি এক সময় ছিলো গৌরব আর আভিজাত্যের প্রতীক, সেসাথে ছিল চট্টগ্রামের শিক্ষিত ও অভিজাত ব্যক্তিদের মিলন কেন্দ্র। কিন্তু কতিপয় সদস্যদের অতি বাড়াবাড়ি এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট সেলিম আখতার চৌধুরীর লোভ ও লালসার কারনে আজ এ ক্লাব হারাতে বসেছে তার গৌরব। জানা গেছে,দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পরই সেলিম আখতার চৌধুরী ক্লাবের সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নেন। নির্বাচিত কমিটিকে পুতুল বানিয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন স্বেচ্ছাচারী কায়দায়। যা ক্লাবের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। নির্বাচিত কমিটিকে পাশ কাটিয়ে তিনি দুনীতিবাজদের নিয়ে একটি এক চক্র গড়ে তুলেন।যে ক্লাবটি বছরের পর বছর ছিল লাভজনক প্রতিষ্ঠান অথচ সে ক্লাব ইতিহাসে এই প্রথম বারের মত লোকসানের মুখে পরে। এছাড়াও দুদকের মামলায় অভিযুক্ত,চিকিৎসক সমাজের কলংক সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ সরফরাজ খান এবং দুর্নীতির দায়ে চাকরী হারানো ব্যাংক কর্মকর্তা আবু তাহের ছিল সেলিমের সব অপকর্মের সহযোগী। অপ্রয়োজনীয় নির্মান কাজ দেখিয়ে নিজেদের মধ্যে বাটোয়ারা করে নেন পুর্ববর্তী প্রেসিডেন্টদের রেখে যাওয়া ব্যাংকে থাকা বিশাল অংকের ফিক্সড ডিপোজিট। আর এসব বিষয় নিয়ে তদন্তে নেমেছে দুদকের একটি গোয়েন্দা ইউনিট। অভিযোগে জানা গেছে,মাত্র দুবছর আগে কেনা ডাইনিং হলের চেয়ার টেবিল বাদ দিয়ে কেনা হয় নতুন চেয়ার টেবিল যার পিছনে মূল উদ্দেশ্য বিশাল অর্থের লেনদেন । অহেতুক ক্লাবের গেট ভেঙ্গে তা আবার নির্মান করে ব্যাপক দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। আর এসব কাজে কোন অনুমোদন নেয়া হয়নি, অনুসরন করা হয়নি কোন স্বচ্ছ্ব পদ্ধতি।তুঘলকী কায়দায় একক সিদ্ধান্তে সুদৃশ্য নবনির্মিত ভবন কে ভেঙ্গে তা আবার নির্মান করা হচ্ছে । বিশাল অংকের টাকার বিনিময়ে সদস্য সংগ্রহ করা হলেও সে টাকা কোথায় ব্যয় করা হয়েছে বা কোথায় আছে তার কোন হিসাব নেই। আর যে সব সৎ সদস্য এসবের প্রতিবাদ করেছেন তাঁদের উপর নেমে এসেছে শাস্তিমুলক ব্যাবস্থা। এমনকি ক্লাবের ক্যাটারিং এর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সন্মানিত সদস্যকে বহিস্কার করা হয়েছে। এবিষয়ে ক্লাব প্রেসিডেন্ট সেলিম আখতার চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট সেলিম আখতার চৌধুরী চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র প্রয়াত মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর জামাতা হিসেবে সর্বত্র পরিচয় দিয়ে চলেন।
