আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিরা পেশাদার অপরাধী। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দলবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে র্যাব দাবি করে।
আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মূলত রাকিবের নেতৃত্বে স্থানীয় একটি অপরাধী চক্রের সদস্য। তাঁরা গোপালগঞ্জ ও আশপাশের এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। গ্রেপ্তার তূর্য মোহন্ত ছাড়া এই চক্রের অন্য সবাই ৮ থেকে ১০ বছর ধরে নবীনবাগ এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবন, আড্ডা, জুয়া, চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। ঘটনার দিনও তাঁরা হেলিপ্যাড এলাকায় মদের আসর বসিয়েছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটে স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতেন বলে জানা গেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও রয়েছে।


২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ভুক্তভোগীসহ দুই শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে মেসে যাওয়ার সময় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সারা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।