ষ্টাফ রিপোর্টার #
ফরিদপুরের সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নে ধোপাডাঙ্গা বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পর একইভাবে পন্ড হয়ে গেছে ইউনিয়নের আরো একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতা। বঙ্গেশ্বরদী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক এ প্রতিযোগীতা সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। স্থানীয় চেয়ারম্যান সামচুন্নাহার মহিদের কারনেই দুটি বিদ্যালয়ের ক্রিড়া প্রতিযোগীতা বন্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে, বিদ্যালয়ের ক্রিড়া প্রতিযোগীতা বন্ধের বিষয়ে রোববার রাতে সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের পরিচালক মো: খায়ের মিয়া অভিযোগ করে বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও এলাকার দানবীর ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত টেকনো মিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. যশোদা জীবন দেবনাথকে অতিথি করায় চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান বেগম সামচুন্নাহার মহিদের অসহযোগীতার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সভাপতি আবুল খায়ের মিয়া বলেন, স্কুলের উন্নয়নের স্বার্থেই আমরা যশোদা জীবন দেবনাথকে অতিথি করেছিলাম। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান আমন্ত্রণপত্রে তাঁর নাম দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং ক্রিড়া প্রতিযোগীতা করতে দেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমএ মান্নান সহ স্কুল কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর বার্ষিক এ প্রতিযোগীতা পন্ড হয়ে যাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে একই কারণে ধোপাডাঙ্গা বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণপত্রে ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদের যথাযথভাবে অতিথিভুক্ত না হওয়ার অভিযোগে রাতের আধারে সেখানে ভাংচুর চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে কোতয়ালী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ক্রিড়া প্রতিযোগতা স্থগিত করে দেয়। রোববার এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুন নাহার মহিদ ক্রিড়া প্রতিযোগীতা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেননি উল্লেখ করে জানান, আমন্ত্রণপত্রে কয়েকজন যোগ্য অতিথিদের অপমান করা হয়েছে। এজন্য আমি সেখানে উপস্থিত হতে পারবো বলে জানিয়েছে। কাউকে প্রতিযোগীতা বন্ধ করতে বলিনি। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম নাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতাকেকে কেন্দ্র করে এ দু’টি অনুষ্ঠানই আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দুটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতা বন্ধ হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গেশ্বরদী স্কুলে সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে চেয়ারম্যানের লোকজন সেখানে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকদের বাঁধা প্রদান করেন। এসময় দুইপক্ষের মাঝে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় চেয়ারম্যানের সমর্থক হিসাবে পরিচিত স্থানীয় ছাত্রলীগের কয়েক নেতা সুজিত নামের এক যুবককে মারধোর করে। সুজিত অভিযোগ করে বলেন, সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কয়েক নেতা তাকে শারিরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন।
