বিশেষ প্রতিবেদক।
ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর দক্ষিন কালীবাড়ী এলাকায় ১১৮ নং মৌজার, এসএ নং-১১১, খতিয়ান দাগ নং-৯৪৯ বিএস খতিয়ান ৪২৫, দাগ নং-২৯৪৭/২৯১৭ এর ১ একর ৩১৫৮ শতাংশ জমির বেশীর ভাগ জমি আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জায়গা দখল করে সেখানে সিমেন্ট ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে বেড়া দেবার অভিযোগ উঠেছে রাজেন্দ্র কলেজ কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে, কলেজ কতৃপক্ষ বলছে, তারা তাদের নিজেদের জায়গাটি ঘেরা দেবার জন্যই এ কাজ করেছেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, শহরের দক্ষিন কালীবাড়ী এলাকার জনৈক নিতাই চন্দ্র রায় ও মোঃ আসিকুল হক গংদের সাথে রাজেন্দ্র কলেজ কতৃপক্ষের মধ্যে বেশ কিছু জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে বিভিন্ন সময় একে অপরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও রয়েছে। মামলা চলাকালীন সময়ে রাজেন্দ্র কলেজ কতৃপক্ষ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সেই সময় মহিলাদের হোটেল নির্মান করে। যেখানে বেশ কয়েক শতাংশ জায়গা দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া মামলা চলমান থাকার পরও হোষ্টেলের সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়। সম্প্রতি, মহামান্য হাইকোর্ট নিতাই রায় ও আসিকুল গংদের পক্ষে রায় প্রদান করে। এ রায় প্রদানের পর পরই জায়গাটি তাদের দখলে রাখার জন্য গত কয়েকদিন ধরে সিমেন্টের খুঁটি ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দেবার কাজ করছে কলেজ কতৃপক্ষ। বিষয়টি জানার পর জায়গার দাবীদার নিতাই ও আসিকুল হক কলেজ কতৃপক্ষককে আদালতের আদেশের কথা জানিয়ে কাজ না করার কথা জানান। কিন্তু কলেজ কতৃপক্ষ তাদের নিধেষ উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যান। তবে রবিবার সকালে কলেজ কতৃপক্ষ নিজেদের লোক দিয়ে সিমেন্টের খুঁটি উঠিয়ে নেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে আসিকুল হক ও নিতাই রায় অভিযোগ করে বলেন, রাজেন্দ্র কলেজ কতৃপক্ষ তাদের জায়গা দখল করে রেখেছে দীর্ঘদিন ধরে। এ নিয়ে মামলা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কলেজ কতৃপক্ষ তাদের জায়গা দখলের জন্য বেড়া দেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জানান, পৈত্রিক সূত্রে তারা এ সম্পত্তির মালিক। অথচ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কলেজ কতৃপক্ষ আমাদের জমি দখলে নিয়ে রেখেছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা হলে প্রতিবারই তারা মামলায় হেরেছে।
এ বিষয়ে রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহা বলেন, বিএস তাদের নামে থাকলেও এ জমিটি আমাদের দখলে রয়েছে। এ নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। তারা অবৈধভাবে দখল নিতে আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
